চৌদ্দগ্রামে বাড়ি-ঘরেআগুন,লুটপাট-ভাঙচুর এর মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার
গত কিছু দিন আগে কুমিল্লার বিভিন্ন সংবাদপত্রে চৌদ্দগ্রামে বাড়ি-ঘরেআগুন,লুটপাট-ভাঙচুর শিরোনামে যে সংবাদ ছাপা হয়ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট ও সাজানো নাটক। আমারা সামাজিক লোক,আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা। নিজেদের অপরাধ ডাকা দেওয়ার জন্য সাজানো এ নাটক, দিনে দুপুরে নিজেরা আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ মিথ্য সংবাদ প্রকাশ করেছে। মূলত তারা আমাদের পরিবার লোকজন ও গ্রামবাসী কে কুপিয়ে জখম করেছে এবং ২ জন পঙ্গুত হয়ছে। জমির জন্য আমাদের উপরে এ অত্যাচার। মূল ঘটনা হলো ২০১৫ সালে মো: হানিফ তার পৈত্রিক ভিটা ১২ শতক বিক্রি করার জন্য বাড়িতে আসে। আব্দুর রব এবং জয়নাল আবেদিনের ছেলে জামাল এর মধ্যস্থতায় প্রতি শতক জায়গা ১,২৫,০০/- দওে জয়নাল আবেদীন শফিকুর রহমান এবং আব্দুল মমিন সমানভাবে ৪ শতক করে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয়। শফিকুর রহমান জামাল এবং আব্দুর রবের উপস্থিতিতে ২,৫০,০০০/- টাকা জামালের হাতে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে জামাল তার ভাই জালালের নামে জালিয়াতি করে ১০ শতক জায়গা মো: হানিফ থেকে কবলা করে নেয়। এরপর অনেকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। গ্রাম্য সালিশে ২,৫০,০০০/- বাবদ ১২ শতক থেকে বাকি ২ শতক জায়গা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জয়নাল আবেদীনের পুরো পরিবার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৬ সালে বাকি ২ শতক জায়গা ও তারা জালিয়াতি করে জালালের নামে কবলা করে নেয়। পরবর্তীতে গ্রাম সালিশে তারা ২ শতক জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামের সর্দার, মেম্বারসহ গণমান্য সকলের উপস্থিতিতে ২ শতক জায়গা মেপে দেয়া হ। সালিশের সময় জয়নাল আবেদীনের পরিবার সবকিছু মেনে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা খুটা উপরিয়ে ফেলে। এভাবে একই কাজ তারা অনেকবার করে। গ্রামবাসী অসহ্য হয়ে চেয়ারম্যানের শরণাপণœ হয়। চেয়ারম্যান বিষয়টি সুরাহার জন্য বসতে চাইলে তারা তা সমাধান করেনি। তারা পরপর দুইটি মামলা করে। গত ০৮/০৭/২০১৮ ইং তারিখে মো: জালাল এসব ঘটনার জের ধরে আব্দুল মমিনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগমকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। এটা তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল। শফিকুর রহমান, নুরুন্নাহার বেগমকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে জালাল, জামাল, কবির, ওমর ফারুক, আব্দুর রব, জয়নাল আবেদীন শফিকুর রহমান, তার স্ত্রী ছফুরা বেগম, তার কণ্যা নাছরিন আক্তারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গ্রামবাসী সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখন করে। গ্রামবাসীদের মধ্যে হারুনুর রশীদ ও মাঈন উদ্দিন মজুমদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। আসামীরা এখন ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ভিকটিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা এ ঘটনার সুষ্টু বিচার কামনা করছে। একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আগুনের ঘটনা সাজানোর আগে বাড়ির গরু থেকে শুরু করে সবকিছু সড়িয়ে রেখেছে যা আশে পাশের গ্রামের সবাই দেখেছে। আমরা শফিকুর রহমান পরিবার সহ গ্রামবাসী উক্ত আগুনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

 

Comments

comments

%d bloggers like this: