মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিচয় পাওয়া গেছে।
স্টাফ রির্পোটার
নিহত ৫ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জন চাঁদপুর, ২ জন কুমিল্লা ও ১ জন নোয়খালির রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের কে এল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস-৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। ওই দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩৪ জন। পরিচয় পাওয়া আহত বাংলাদেশিরা হলেন- সেরডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ নাজমুল হক (২১), মোহাম্মদ রজবুল ইসলাম (৪৩), ইমরান হোসাইন (২১)। এবং পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদ হাসান (২১), শামীম আলী (৩২), মোহাম্মদ ইউনুস (২৭) ও মোহাম্মদ রাকিব (২৪)। হতাহতদের মধ্যে ২ জন নেপাল, ১ জন মালয়েশিয়া ও ২ ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন। নিহতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেবপুর ৪নং ওয়ার্ডের মো আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগল ৩নং ওয়ার্ডের মো. আমির হোসেনের ছেলে আলামিন (২৫), কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার দুরলবপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসানপুর কলেজ পাড়ার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) ও নোয়ালি জেলার চাটখিল থানার নোয়াখোলা ২নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৩)। নিহতদের লাশ বর্তমানে সেরডাং হাসপাতালে আছে। দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাসটি শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল রাতে নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। কে এল আই এয়ারপোর্টের ওসিপিডির সহকারী কমিশনার জুলকিফলি আদম শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ৪৩ জন শ্রমিক বহন করছিল। তারা এমএএস কার্গোতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন।