সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখায় একাউন্ট করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখায় একাউন্ট করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
অতিরিক্ত অর্থ আদায়, গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনসহ নানান অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আবাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুমিল্লার প্রধান শাখার জেনারেল ম্যানাজার বরাবর আবেদন করেছেন ভূক্তভোগী গ্রাহকরা।
দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীরা সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখায় হিসাব খুলতে যায়। এসময় শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আবাদ হোসেন তাদের কাছ থেকে ১৪০০-১৫০০ টাকা করে নিয়ে হিসাবে জমা দেখিয়েছেন ১০০০ টাকা। এ বিষয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচরণ করেছেন বলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ এছাক ভূঞা জানান।
উল্লেখ্য ব্যাংকের এ শাখাটিতে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেখানে টাকা ছাড়া নড়ে না কোন চেক বা ফাইল। অনেক ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা সরাসরি টাকা না নিয়ে দালাল দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক কথায়- দালাল চক্রের কবলে পড়ে ব্যাংকের গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকের কিছু নিদিষ্ট দালালের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণ গ্রহীতাদের থেকে ১৫-২০% টাকা কেটে রাখে। সব কিছু দেয়ার পরে নামমাত্র টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ঋণের বোঝা ঋণগ্রহীতাদের মাথায় থাকে।
চলতি বছরের মে মাসে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা গুলো সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সংবাদের জের ধরে একটি তদন্ত কমিটি শাখা পরিদর্শন করে গ্রাহক, সাধারণ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আলাপ করেন। তখন বেশীর ভাগ লোকই ওই শাখার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছেন।
এ বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আবাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

comments

%d bloggers like this: