ধর্মসাগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে চলছে রমরমা ব্যবসা
কুমিল্লাবাসীর বিনোদনের জায়গা নেই বললেই চলে।অবসর সময়ে সিটি পার্ক গিয়ে মানুষ একটু সময় কাটায়। কিন্তু কিছুদিন যাবত দর্শনার্থীদের বিনোদন উপেক্ষা করে পার্কটিতে চলছে রমরমা ব্যবসা।শুধুমাত্র ধর্মসাগর পাড়ে তৈরি করা হয়েছে স্থায়ী আটটি দোকান
।এর মধ্যে রয়েছে ৬ টি কনফেসনারী দোকান,১টি আচারের দোকান, ১ টি বইয়ের দোকান ।সাথে আরও আছে ৭ টি ফুচকা চটপটির দোকান।ফুচকা চটপটির চেয়ায়ের কারনে দর্শনার্থীদের পথ চলতে সমস্যা হয়।ফুচকা চটপটি বিক্রেতারা পথ আগলে মেয়েদের বাধ্য করে চটপটি ফুচকা খেতে।সকাল থেকে বসে বিভিন্ন হকার।
এদিকে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকানগুলো নিজের ইচ্ছে মতো পন্যের দাম নির্ধারণ করছে। এতে করে বিনোদন প্রেমীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফাস্ট ফুড সহ অন্যান্য প্রতিটি পন্যে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি রাখছে।
ধর্মসাগর পাড়ের হাটার রাস্তাটিতে হকারের কারনে ঠিক মত হাটাই যায় না।একটু পর পর হকার থাকায় পুরো রাস্তাটিতেই বাদামের খোসা,ঝালমুড়ির পেকেট,চিপসের পেকেট পরে অপরিছন্ন হয়ে থাকে।শুধু পাড়েই না হকারদের আবর্জনা ধর্মসাগরে ফেলায় সাগরের পানি দূষিত পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
একজন দোকানদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিয়েই তারা এখানে দোকান দিয়েছি।অন্য দোকানদাররা একই কথা বলেন।পার্কের উত্তর অংশের গেইটের পাশেই বসানো হয়েছে একটি খেলানা ও প্লাস্টিক ফুলের দোকান,এই গেইট দিয়ে প্রবেশে অসুবিধা হয়।সিটি পার্কের সামনের অংশে বসে চার জন হকার ও ঘোড়ার গাড়ি।পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ঠিক ভাবে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়।সিটি পার্কের মহিলা কলেজ গেইট সংলগ্ন নতুন একটি রেস্তোরা হওয়ায় রেস্তোরার আসা গ্রাহকের মটর সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়ের কারনে দর্শনার্থীদের চলাচলে অসুবিধা হয়।এই বিষয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে রাজি হয়নি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বাজার শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা হারুনুর রশিদ জানান, ধর্মসাগর পাড়ে কোনো দোকান লিজ দেওয়া হয়নি। কিছু মেয়র মহোদয় মৌখিক অনুমোদন দিয়েছেন, কিছু অবৈধভাবে বসেছে। দোকান বেড়ে যাওয়ায় ধর্মসাগর পাড়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা এগুলোর তালিকা করছি। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।