চৌদ্দগ্রাম পৌর কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধার উপর সন্ত্রাসী হামলা, প্রতিবাদ সভায় ৪৮ ঘন্টায় সন্ত্রাসী গ্রেফতারের দাবি

মো. আবুল বাশার রানা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌর কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে । সভায় ৪৮ ঘন্টায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানানো হয়। উপজেলার পৌরসভাধীন সোনাকাটিয়া গ্রামের সোনাকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা ও কাউন্সিলরের উপর এমন নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বাকরুদ্ধ পুরো উপজেলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন (১৫ই আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনা সদস্য, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোখলেছ মিয়ার উপর এমন জঘন্য ও ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোখলেছ মিয়ার উপর এমন ভয়াবহ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে, ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী মোস্তাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় তাৎক্ষণিকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা বললেও এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। হামলায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোখলেছ মিয়া মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত-জখম হয়। তাঁকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাথে সাথেই স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোখলেছ মিয়াকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখনো আশংকামুক্ত নন। গতকাল বিকালে এ ঘটনায় সোনাকাটিয়া গ্রামে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোখলেছ মিয়ার উপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম পৌরবাসী কর্তৃক আয়োজিত, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহম্মেদ বি.কম এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এএসএম শাহীন মজুমদার, উপজেলার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস মিয়াজী, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম কামাল, মোঃ মফিজ, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ইউনুস, শাহীন ও মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা খাতুন, যুবলীগ নেতা আবুল হাশেম, আব্দুস সাত্তার, মাষ্টার মীর হোসেন মীরু। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ মিলন মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছি। গতকাল রাতেও ভোর পাঁচটা পর্যন্ত অভিযানে ছিলাম। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Comments

comments

%d bloggers like this: