মির্জা ফখরুলের আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম
‘বগুড়া-৬ (সদর) আসনটি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। আমার বাড়ি সদর উপজেলায় হলেও গত নির্বাচনে তার (খালেদা জিয়া) প্রতি সম্মান দেখিয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু অনিয়মের কারণে ভোট বর্জন করেছিলাম। এবার সদর আসনে খালেদা জিয়া নেই। তাই উপনির্বাচনে প্রার্থী হবো। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না দিলে অবশ্যই স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এক আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, তিনি সম্প্রতি জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। আগামী ২৪ জুন বগুড়া সদর আসনের উপনির্বাচন। তিনি এ নির্বাচনে অংশ নিতে পার্টির মনোনয়ন চেয়েছেন। পার্টি তাকে সমর্থন না দিলে তিনি নিশ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। প্রার্থীতা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়াতে। গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। আসনটি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হওয়ায় শুধু তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরে যান এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রতিপক্ষরা তার সঙ্গে কারচুপি করে। তাকে প্রকাশ্যে মারপিট করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন। এবার সদর আসনের উপনির্বাচনে খালেদা জিয়া নেই। তাই তিনি প্রার্থী হবেন।
হিরো আলম আশা করেন, নির্বাচনে তিনি ভালো ফলাফল করবেন।
স্ত্রী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৪৩ দিন কারাভোগ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। থানায় তাকে মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাত ১১টায় গ্রেপ্তার করে। তার স্ত্রী আদালতে দাঁড়িয়ে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বললেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। তুচ্ছ ঘটনায় তাকে জেলভোগ করতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এরুলিয়ার বাড়িতে সুখে আছেন। ২-১ দিনের মধ্যে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে এখনই তা প্রকাশ করা হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষরা তার ওপর আবারো ক্ষেপে যাবে। বলবে বেশি হয়ে গেছে। তাই আবারও হামলা করতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথগ্রহণ না করায় ওই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৪ জুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে কমিশন।