রোহিঙ্গাবোঝাই ফের শাহপরীর দ্বীপে নৌকাডুবি ৮ মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকার সাগরে ফের রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আটজনের মরদেহ এবং ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

১৬ অক্টোবর সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের ডাঙ্গাপাড়া পয়েন্টে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছেন কোস্টগার্ড, পুলিশ ও স্থানীয়রা।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন খান জানান, সোমবার ভোরে টেকনাফ উপজেলায় শাহপরীর দ্বীপ এলাকার সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমিন মাধ্যমে এ খবর জানতে পারেন পুলিশ।

ঘটনার পর পরই হতাহতদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। পরে পুলিশও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনের মরদেহ এবং ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের দাবি আরও অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ওসি আরও জানান, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর শনিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফে সাবরাংয়ের খুরেরমুখ এলাকা থেকে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসা আরও তিন রোহিঙ্গা নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গত ৩০ আগস্ট বুধবার রাতে নাফ নদীতে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় ১৯ নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ৩০ আগস্ট বুধবার ভোরেও নাফ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। তখন চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল

গত ০৩ সেপ্টেম্বর রোববার টেকনাফের নাফ নদী থেকে গুলিবিদ্ধ নারী-শিশুসহ ০৭ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ০৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় রোহিঙ্গাদের ১১টি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী আরও দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ০৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা থেকে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন উপকূল থেকে নারী-শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে পাঁচ শিশু ও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির এ ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় গত ৮ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফসংলগ্ন উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১১টি মরদেহ ও আট রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধারকরা হয়েছে। তবে আরও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।

Comments

comments

%d bloggers like this: