মায়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী
মায়ানমারে গণহত্যা বন্ধে ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় মায়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এরপরও যদি নির্বিচারে হত্যা বন্ধ না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে মায়ানমার অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি। শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।
মায়ানমারে নির্বিচারে মুসলিম হত্যা,নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি গণমিছিল দৈনিকবাংলা ঘুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে এসে শেষ হয়।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন,‘মায়ানমারে নিয়মিত চলা ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই রাখাইন রাজ্যে গত বুধবার সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত ও বহু লোক আহত হওয়ার নির্মম ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা জানা নেই। মায়ানমারে নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থার কোনও কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন,‘মায়ানমার সরকারের পরিচালিত এ হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সামিল। মায়ানমার সরকার দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নিরস্ত্র ও নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপরে গুলি বর্ষণ করে, তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। গত তিন যুগ আগে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়িত করে।
নাসিরনগর প্রসঙ্গে মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, ‘সংখ্যালঘু নিয়ে রাজনৈতিক খেলা চলছে। এ খেলা বন্ধ করতে হবে।’