ইতিহাস গড়ার আনন্দ নিয়েই মুশফিক-সাকিবদের ঈদ

১১ বছর আগেই আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লিড নিয়েছিলেন টাইগাররা। দুর্ভাগ্য স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত নিজেদের পারফরম্যান্স আর ধরে রাখতে পারেনি হাবিবুল বাশারের দল। তীরে এসে তরি ডুবিয়ে হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ঢাকা টেস্টে চোখ রাঙাচ্ছিল সেই ফতুল্লার স্মৃতি! তৃতীয় দিন শেষে যখন ২ উইকেটে ১০৯ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে ছিলেন দুই ভয়ঙ্কর অসি ব্যাটসম্যান। স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। চতুর্থ দিন ওয়ার্নার সেঞ্চুরিটা তুলে নেন। খেলেছেন ১১২ রানের ইনিংস। স্মিথ থামেন ৩৭ রানে। দুজনকেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সাকিব আল হাসান। এতে যেন পথের কাটা সরে গেল।

ওয়ার্নার-স্মিথ সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। লোয়ার অর্ডারে খেলতে নেমে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন প্যাট কামিন্স। ছক্কা মেরে টাইগারদের হৃদয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন অসি এই পেসার। শেষ পর্যন্ত তার বুক চিতিয়ে লড়াইটা গেছে ভেস্তে।

অসিদের শিবিরে শেষ আঘাতটা দেন তাইজুল ইসলাম। প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা জস হ্যাজলউডকে। তাতে ইনজুরিতে পড়া হ্যাজলউডের খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। ১০ বল খেলে শূন্য হাতেই ফিরেছেন সাজঘরে। গোটা অস্ট্রেলিয়া দলের কপালেই যেন লাগল কলঙ্কের তিলক। এর আগে কখনোই যে টেস্টে বাংলাদেশের কাছে হারেনি তারা!

অপরদিকে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজদের অসাধারণ নৈপুণ্যে টেস্টে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অসিদের বিপক্ষে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়টা কষ্টার্জিতই, ২০ রানের। ইতিহাস গড়ার আনন্দ নিয়েই এবার ঈদ উদযাপন করবেন মুশফিক-সাকিব-তামিম-মিরাজ-মোস্তাফিজরা।

Comments

comments

%d bloggers like this: