ছাড়পত্র জটিলতায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবেন না রুবেল
সাউথ আফ্রিকা মানেই পেস সহায়ক উইকেট। বাংলাদেশের টেস্ট দলেও রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার। তবে বাকিরা যখন ডু প্লেসিসদের ডেরায় পৌঁছে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে নামতে যাচ্ছেন, স্কোয়াডের অন্যতম পেস-ব্যাটারি রুবেল হোসেন তখনও অপেক্ষায় বিমানে চাপার অনুমতি পাওয়ার। বুধবার বিকেল পর্যন্ত যে সাউথ আফ্রিকার দূতাবাস থেকে সে দেশে প্রবেশের নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাননি রুবেল।
ছাড়পত্র জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় অনিশ্চয়তা বাড়ছে রুবেলের সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার ব্যাপারে। টাইগার পেসারের অপেক্ষা যত বাড়ছে, মূল সিরিজ শুরুর সময় আবার ততই নিকটে আসছে। পচেফস্ট্রমে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ২৮ সেপ্টেম্বর।
সাদা পোশাকে নামার আগে বৃহস্পতিবার সাউথ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে নামবেন মুশফিকরা। বেনোনির সাহারা উইলোমুর পার্ক মাঠে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শুরু হবে খেলা। ৯ বছর পর দেশটিতে সফর করা বাংলাদেশের জন্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই আসল চ্যালেঞ্জের। প্রস্তুতি ম্যাচের গুরুত্ব তাতে শতগুণ বাড়ছে। সেই ম্যাচেই কিনা নামার সুযোগ পাচ্ছেন না রুবেল।
রুবেল ইস্যুতে বোর্ড অবশ্য তোড়জোড় করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানালেন, ‘রুবেলেরসহ বাংলাদেশ দলের সব সদস্যের ভিসা কলম্বো থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে যে দেশে যাবে তাদের একটা ছাড়পত্র নিয়ে বিমানে ওঠার বিধানও আছে। রুবেলের ক্লিয়ারেন্স আসেনি বলে যেতে পারেনি। আমরা বিষয়টা সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেটকে জানিয়েছি। তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করছে। ক্লিয়ারেন্স এলেই সে যেতে পারবে।’
‘রুবেল হোসেন’ নামের এক বাংলাদেশি সাউথ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনের কালো তালিকাভুক্ত। সেই ব্যক্তির নামের সঙ্গে জন্মতারিখও মিলে যাওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সাউথ আফ্রিকার যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে এমিরেটস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ রুবেলকে বিমানে তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। দলের সবাই চলে গেলেও তাই বাসায় ফিরে আসেন টাইগার পেসার।
বিসিবি এখন প্রমাণের চেষ্টা করছে, সাউথ আফ্রিকা যে রুবেল হোসেনের কথা বলছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেন সেই ব্যক্তি নন। নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরণের সমস্যার উদ্ভব যেন আর না হয় সেজন্য বিশেষভাবে যাচাই-বাছাই করছে সাউথ আফ্রিকার দূতাবাস।
কবে নাগাদ জটিলতার অবসান হবে সেটি অবশ্য স্পষ্ট করে জানাতে পারলেন না নিজামউদ্দিন চৌধুরীও, ‘এ ধরনের বিষয়ের জন্য কোনও সময় নির্ধারণ করা থাকে না। যখন ক্লিয়ারেন্স আসবে, তখন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রুবেলকে ফ্লাইটে তুলে দেয়ার চেষ্টা করব আমরা।’
মূল সিরিজ শুরু হতে হাতে সময় মাত্র এক সপ্তাহ। বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, রুবেলের বিষয়ে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। চেষ্টা চলছে। তবে আগামী দুদিনের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয় বিকল্প নিয়েও ভাবতে পারে বিসিবি। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তারা যদি চায় বিকল্প পাঠাবে বিসিবি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন অবশ্য সাউথ আফ্রিকাতেই আছেন।