নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী

দঈদ পরবর্তী সমাচার উপলক্ষ্যে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ০২ আগস্ট নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এক পুনর্মিলনী এর আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার চান্দিনায় অবস্থিত জনাব খোরশেদ আলমের নিজ আবাসস্থলে। জনাব খোরশেদ আলম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর- এ পিএ টু পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার আয়োজনে নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ এর সদস্যবৃন্দ এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও, উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ এর আহবায়ক জনাব ছালাউদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য সচিব মোঃ আরিফুল হাসান। নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর সদস্যবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জনাব শহিদুল ইসলাম, জনাব উবাইদুল ইসলাম এবং জনাব সালাউদ্দিন। এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে যখন মানুষ তার হৃদয়ের স্পন্দন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তখন নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ তাদের অভিনব কায়দায় কিভাবে পুনরায় একত্রিত হওয়া যায় সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, তারা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছেন। উল্লেখ্য যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মচারীদের জন্য “ইন্ডাকশন ট্রেইনিং” এর ব্যবস্থা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কর্মচারীদের চতুর্থ ব্যাচ প্রশিক্ষণরত রয়েছে। খুবই আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর আহবায়ক এবং সদস্য সচিব দুজনই উক্ত ব্যাচে প্রশিক্ষনরত হিসেবে আছেন, সেই সাথে উক্ত ব্যাচের সকল প্রশিক্ষণার্থী এই পরিষদটির সদস্য এবং কর্মচারীদের এই চতুর্থ ইন্ডাকশন ট্রেনিং এ কোর্স সিনিয়র হিসেবে আছেন আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজক জনাব খোরশেদ আলম। তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন যে, এই পরিষদটির সকল সদস্যের মধ্যে আন্তরিকতা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ আজকের এই অনুষ্ঠানটি। ভবিষ্যতেও এই ধরনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান। উক্ত পরিষদের আহবায়ক জনাব ছালাউদ্দিন আহমেদ, এই ধরনের অনুষ্ঠানকে সামাজিকতার অংশ বলে জানান। সেই সাথে তিনি একটি সুন্দর ও সফল অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সদস্য সচিব মোঃ আরিফুল হাসান বলেন, ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। তিনি আরো বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা এর ত্যাগের মহিমায় আমাদের সকলের জীবন যেন অর্থবহ হয়ে ওঠে সেই কামনায় আজকের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পরিষদের উপস্থিত সদস্যবৃন্দ এ ধরনের অনুষ্ঠানকে পরিষদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন।

Comments

comments

%d bloggers like this: