মেসি ম্যাজিকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা

২০১৪ সালের বিশ্বকাপের রানার্সআপ আর্জেন্টিনা এবার বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ছিল। সব শঙ্কা দূরে ঠেলে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের ৪৪তম হ্যাটট্রিক আর্জেন্টিনাকে সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পাইয়ে দিয়েছে। ইকুয়েডরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো আর্জেন্টিনা।

এদিকে, গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জোড়া গোলে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে একের পর এক হোঁচটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠে পেরুর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পর পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে নেমে যায় মেসি বাহিনী।

বিশ্বকাপ ভাগ্য নিজেদের হাতে রেখে বুধবার (১১ অক্টোবর) ইকুয়েডরের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে জিততেই হতো আর্জেন্টিনাকে। মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে মাঠে নামেন সার্জিও রোমেরো, গ্যাব্রিয়েল মারকাডো, হাভিয়ের মাশ্চেরানো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, এদুয়ার্দো সালভিয়ো, এনজো পেরেজ, লুকাস বিগলিয়া, মার্কোস একুনা, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, দারিয়ো বেনেদেতো এবং লিওনেল মেসি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কিটোর ২ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতায় কিটোর এই মাঠে আর্জেন্টিনার অতীত পারফরম্যান্সও খুব একটা সুখকর ছিল না। ২০০১ সালের পর থেকে সেখানে ইকুয়েডরকে হারাতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

এই ম্যাচের আগে বাছাইপর্বে মেসিকে ছাড়া আট ম্যাচ খেলে মাত্র ৭ পয়েন্ট পায় আর্জেন্টিনা। বার্সেলোনা তারকাকে নিয়ে ৯ ম্যাচ খেলে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছিল দলটি। ম্যাচের এক মিনিট না যেতেই আর্জেন্টাইন ভক্তদের বুকের কোণে ব্যথা তুলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। ৪০ সেকেন্ডের মাথায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসে আর্জেন্টিনা। রোমারিও ইবারার গোলে ১-০তে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ইকুয়েডর। তবে, আর্জেন্টাইন ত্রাণকর্তা হিসেবে আরেকবার উপস্থিত হন মেসি। খেলার ১২ মিনিটের মাথায় ফল ঘুরিয়ে দেন তিনি। ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে ইকুয়েডরের জালে বল পাঠাতে সময় নেননি মেসি (১-১)।

এই ম্যাচের আগে স্বদেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সাম্পাওলি গত জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাছাইপর্বে কোনো জয় দেখেননি।

Comments

comments

%d bloggers like this: