দক্ষিণ রাখাইনের ১১৮ গ্রামে অবরুদ্ধ রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১১৮টি রোহিঙ্গা গ্রামে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন রোহিঙ্গারা। উত্তর রাখাইনের ৪৭৯ গ্রাম যখন সেনাবাহিনী ও রাখাইন মগদের সহিংসতার আগুনে পুড়ছিলো এবং জাতিগত নিধন ও গণহত্যার শিকার হচ্ছিলো, তখনও দক্ষিণ রাখাইনের এ ১১৮ গ্রাম ছিলো তুলনামূলক শান্ত ও কম ক্ষতিগ্রস্ত।
এসব গ্রামের ধনী রোহিঙ্গারা তাদের গ্রামগুলো রক্ষা করতে কোটি কোটি টাকা সেনাবাহিনীর পেছনে ব্যয় করেও শেষ রক্ষা করতে পারছেন না। মাসাধিক সময় ধরে উগ্র বৌদ্ধদের হাতে অবরুদ্ধ থেকে এখন তারা বাংলাদেশের পথ ধরছেন রাতের আঁধারে।

ওই এলাকা থেকে গত এক সপ্তাহে ৫০ হাজারের মতো মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলছে, এসব এলাকার প্রায় তিন লাখ মানুষ এখন বাংলাদেশে পালিয়ে আসার অপেক্ষায় আছেন। অনেকেই ১২ থেকে ১৪ দিন টানা হেঁটে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে সীতা পাহাড়, নাইক্ষ্যংদিয়ার দ্বীপ ও পাশের অন্যান্য সমুদ্র পাড়ে জমায়েত হচ্ছেন। কিন্তু নৌযানের অভাবে তারা বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।

দক্ষিণ রাখাইনের সেন্ডওয়ে, রাথেডং ও বুথেডংসহ ১২টি টাউনশিপ এলাকায় অক্টোবরের শুরু থেকে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। এ অঞ্চলের ৩ লাখের মতো মানুষ এক মাস ধরে নিজ বাড়িতে বন্দি অবস্থায় আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়িতে থাকা নিত্যপণ্যের মজুদ শেষ হওয়ায় অমানবিক জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন।

জাতিসংঘ বলছে, এসব এলাকায় বড় ধরনের সহিংসতার খবর না থাকলেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা থেমে নেই। রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা থামছে না। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্যটি থেকে বাংলাদেশে আরও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ঢল নামতে পারে।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের (ওসিএইচএ) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র জোয়েল মিলম্যান জানিয়েছেন, রাখাইন থেকে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

Comments

comments

%d bloggers like this: