ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের চালকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা
সড়কে নতুন আইন বাস্তবায়নের প্রথম দিন থেকেই নানা কৌশল নিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। এরই মধ্যে কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা-উপজেলায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। নতুন আইনের কারণে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাক-ড্রাইভার ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম।তিনি বলেন, ‘নতুন আইনে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালকরা গাড়ি চালাবেন না। কিছু হলেই জরিমানা করা হবে ২৫ হাজার টাকা। আছে মামলা। এর ওপর আবার চালকের লাইসেন্সের ওপর পয়েন্ট কাটা হবে। এসব কারণে চালকরা আর গাড়ি চালাবেন না।’এদিকে সংগঠনটি বলছে, লাইট লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালানো যায় না। কিন্তু ভারী গাড়ি চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) লাইসেন্সও দিচ্ছে না। লাইট লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালাতে গেলেই জরিমানা করা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা একজন শ্রমিক কীভাবে দেবে? তাই চালকরা গাড়ি চালাবেন না।তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যে আইনটা হয়েছে তা বাংলাদেশে চলে না। কারণ এ আইন করার আগে তো আপনাকে সব ধরনের অবকাঠামো ঠিক করা উচিত ছিল। রাস্তাঘাট ঠিক নাই, আপনি আইন করলে তো সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না।’তিনি বলেন, ‘আমরা এসবের সমন্বয় দাবি করেছি কিন্তু পাইনি। নতুন আইন (সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮) কার্যকর ও প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তাই ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালকরা আর গাড়ি চালাবেন না। আগামীকাল সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।’এদিকে নতুন সড়ক আইন প্রয়োগ শুরু হয়েছে গত রোববার থেকে। প্রথম দিনে মালিক-শ্রমিকরা মোটামুটি পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিলেও আইন প্রয়োগের দ্বিতীয় দিন গতকাল থেকে ‘আইন না মানার’ আন্দোলন আরও বড় পরিসরে পৌঁছেছে। গতকাল ঢাকার সড়কে ৮৮টি মামলা হয় বিভিন্ন পরিবহনের বিরুদ্ধে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, যত চাপই থাকুক সরকার সড়ক আইন বাস্তবায়ন করা হবে।নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। নতুন আইন প্রয়োগের প্রথম দিন গতকাল সোমবার রাজধানীতে আটটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রথম দিনই রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম।