থেকে যাচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সব তথ্য

গুগল ম্যাপে খোঁজ করা হলো, ঢাকার মিরপুর থেকে উত্তরার দূরত্ব কত। এরপর ফেসবুক খুললেই দেখা গেলো, উত্তরা এলাকায় বিভিন্ন হোটেলের বিজ্ঞাপন আসতে শুরু করেছে!

আবার বন্ধুর কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হলো, বাজারে কোন স্মার্টফোন ভাল চলছে। এবারও একই কাণ্ড! ফেসবুক ওয়ালে দেখা দিতে লাগলো মোবাইল ফোনের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন।

কিংবা ব্যাংক ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনে, ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ শেষ। একদিন হঠাৎই ফোন আসলো, চাইলে ব্যাংক আপনাকে নগদ ঋণ দিতে আগ্রহী।

সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব রকমের তথ্যই এখন ব্যবসার মস্ত হাতিয়ার। ইন্টারনেটে ব্যবহারে মানুষ যা করছে, তার সবকিছু ডাটা হিসেবে সংরক্ষিত থেকে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিমুহূর্তে তৈরি হচ্ছে নানাবিধ তথ্যসম্বলিত ডাটার বিপুল ভাণ্ডার।

পরবর্তীতে এসব ডাটা থেকে মানুষের পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনায় ঠিক হচ্ছে ব্যবসার কলাকৌশল।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, যেহেতু এসব ডাটা মানুষের একান্ত বিষয়। ফলে এটা ব্যবহারের অনুমতির প্রয়োজন। এমনকি, এ ডাটার জন্য সংশ্লিষ্টদের আর্থিক মূল্য দেওয়া উচিত।

সম্প্রতি ভারতের সাংবিধানিক আদালতের রায়েও তা বলা হয়েছে। ভারতের আদালত ব্যক্তি অধিকারকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে।

Comments

comments

%d bloggers like this: