বিয়ের আগে একসাথে থাকার বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

পুরুষের বয়স ২১-এর কম হলেও সম্মতি থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী লিভ-ইন করতেই পারেন। এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের ন্যূনতম বৈধ বয়স ২১ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ১৮ বছর।

কেরলের ২০ বছর বয়সী তুষারার সঙ্গে গত বছর বিয়ে নন্দকুমারের। বিয়ের সময় নন্দকুমারের বয়স ছিল ২১-এর কম। ওই বিয়ের পরেই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে, এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন তুষারার বাবা। সেই মামলায় গত বছর কেরল হাইকোর্ট ওই বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করে তুষারাকে তাঁর পিত্রালয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

কেরল হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে সিক্রি ও বিচারপতি অশোক ভূষণকে নিয়ে গড়া সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বয়স না হলেও যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক, তাঁরা (এ ক্ষেত্রে, তুষারা ও নন্দকুমার) সেই সম্পর্কের বাইরেও লিভ-ইন করতে পারেন। তাঁদের সেই আইনি অধিকার রয়েছে। আইনসভাও লিভ-ইন সম্পর্ককে অনুমোদন করেছে। সেই সম্পর্ককেও পারিবারিক হিংসা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’’

সে ক্ষেত্রে তুষারাকে তাঁর পিত্রালয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়াটা কেরল হাইকোর্টের উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তুষারা কার সঙ্গে থাকবেন, সেটা তাঁকেই ঠিক করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।

ডিভিশন বেঞ্চ এও বলেছে, ‘‘দাম্পত্যে সঙ্গী নির্বাচনে আদালত জাতির পিতার ভূমিকা নিতে পারে না।

Comments

comments

%d bloggers like this: